ব্যাক্তিগত ভাবেও ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ করেছে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার ?- পুস্পিতা

ভারতীয় নগ্ন নায়িকাদের নিয়ে কনসার্ট করতে চান? বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অনুমতি ছাড়া এমনকি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বাসস্থান গণভবনেও করতে পারবেন। কেউ কিছু বলবে না বরং হাসিনা নিজে সাঙ্গপাঙ্গ সহ উপস্থিত থেকে উৎসাহ দিবে!

কোন হোটেলে, বাসায় নারী-পুরুষ মিলে ইয়াবা, মদ নিয়ে পার্টি করতে চান? অবশ্যই পুলিশ, সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবাই তৈরি, দলবল সহ অংশগ্রহণ করে সফল করে তুলতে!

রাম-রাবন-সীতার কাহিনীর উপর একটি যাত্রার আয়োজন করতে চাই। ওহ তাই নাকি! এতো খুবই ভাল কাজ। যে কোন ধরনের সহযোগীতা করতে সংস্কৃতি ও ধর্মমন্ত্রণালয় আছে। প্লিজ অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন!

একটি ইসলামী মাহফিল, আলোচনা সভা করতে চাই। অসম্ভব! এতো সংবিধান পরিপন্থী বিষয়! ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের মহামতি হাসিনা সরকার তা কখনোই সহ্য করতে পারে না! এমনকি ঘরে বসেও তা করা যাবে না! ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে ইসলামের আলোচনা! উফ্ অসহ্য!

এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ! ৯০% মুসলমানের বাংলাদেশ! আওয়ামী লীগ ও তাদের পরজীবিরা সবসময় বলার চেষ্ঠা করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানে ধর্মহীনতা নয়। এটা নাকি শুধু ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক রাখার নাম, ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম পালনে নাকি বাঁধা নেই!

আসলে কি তাই? ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানে ধর্মহীনতা নয়-এটি সঠিক হলেও হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে ধর্মনিরপেক্ষবাদ মানে ইসলামহীনতা। এখানে অন্য যে কোন ধর্মের যে কোন আচার, অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করা যাবে। কিন্তু ইসলামের নাম আসলেই নানা রকম বাঁধা তৈরি করা হবে। সেই সম্রাট আকবরের আমল থেকে নিয়ে তুরস্কের কামাল আতার্তুক, বাংলাদেশের শেখ মুজিব, হাসিনা সবাই একই।

এরপর ইসলামী দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ শুধু ইসলামকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক রাখে তা নয়, বরং ব্যাক্তিগত ভাবেও ইসলাম পালনে বাঁধা দেয়া হয়। ফলে দেখা যায় হাসিনার তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ এ সরকারের আমলে সারাদেশে হিজাব, পর্দা বিরোধী প্রচারণা চালানো হয়, সকল ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলতে গেলে বন্ধ, দাঁড়ি, টুপি, হিজাব দেখলেই পুলিশ ও লীগের আচরণ এমন যে তারা সবাই অপরাধী বা জঙ্গী! এমনকি ঘরেও যদি কয়েকজন মিলে ধর্মীয় আলোচনা করে তাদেরকে জঙ্গী হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, হয়েছে। তার সর্বশেষ নমুনা দেখা গেলো ঢাকার খিলগাঁও এর একটি বাসা থেকে ছাত্রীসংস্থার ২৪ ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের অপরাধ রমজানকে সামনে রেখে তারা ব্যাক্তিগত ভাবে কুরআন তালিমের মতো একটি ঘরোয়া বৈঠক করছিল!

চিন্তা করা যায় বাংলাদেশ আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে?! ৯০% মুসলমানের দেশে ২৬জন নারীকে পুলিশ আটক করেছে কুরআন তালিম করছিল বলে! তারা এই অনুষ্ঠানটি রাস্তায় নয়, হলে নয়, ক্লাবে নয় বরং একটি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন বাড়িতে করছিল। হাসিনা শেষ পর্যন্ত ঘরের ভিতরও ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ করেছে?!

এই কিছু দিন আগে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে ঢাকা সহ সারাদেশে ফ্ল্যাশমবের নামে ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে হঠাৎ নারী-পুরুষের নাচানাচিতে কি পুলিশ বা সরকার কখনও বাধাঁ দিয়েছিল? সেখান থেকে কি কাউকে আটক করেছিল? বরং দেখা গিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, র‍্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীগুলো সবাই মিলে সেই নাচানাচি উপভোগ করছে! হাততালি দিয়েছে! সরকারী ভাবে মিডিয়ায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্ল্যাশমবকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ফ্ল্যাশমবের নামে নষ্টামিতে বাঁধা নেই, সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে অসভ্যতাতে বাঁধা নেই, অশ্লীল কনসার্টে বাঁধা নেই, বিভিন্ন হোটেল, বাসায় নানা নামে নানা স্টাইলে নারী-পুরুষের অশ্লীলতায় বাঁধা নেই, নৈতিকতা ধ্বংসের কর্মকান্ডে বাঁধা নেই, বাঁধা আছে শুধু ইসলামী অনুষ্ঠানে?। এমনকি বাসাবাড়িতে করলেও সেখানে বাধাঁ! ব্যাক্তিগত উদ্যােগে কারো বাসায় কুরআন শিক্ষার অনুষ্ঠান করলেও তাতেও হানা দেয় পুলিশ? সেখান থেকেও নারী-ছাত্রীদের আটক করা হয়?!

এর নামই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ? এর নামই স্বাধীনতার চেতনা? এ জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল? হাসিনার মূল টার্গেট তাহলে ইসলামহীন বাংলাদেশ?! ৯০% মুসলমানের দেশে এই দুঃসাহস তার হয় কি করে? আর কতো অপমানিত হবার পর এদেশের মুসলমানদের হুশ হবে?!

উৎসঃ- http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/3240/puspita/47594

Post a Comment

Previous Post Next Post