মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী (রাহিমাহুল্লাহ)

আমার পরম শ্রদ্ধেয় বড় ভাই । ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবীতে সল্পকালীন সময়ে বিস্তর সুখ্যাতি আর বিপুল ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন । সকলের সেই মোহাব্বত কে বিদায় দিয়ে মহান আল্লাহর ডাকে মায়াময় এই পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে হাসতে হাসতে, আমাদেরকে কাদিয়ে চলে গেলেন । তার সম্পর্কে কি লিখবো ? কি বলবো ? সদা হাস্যোউজ্জল স্বল্পভাষী আমাদের বড় ভাই এর স্বল্পকালীন এই জীবনটা কাটিয়েছেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে । অমায়িক ব্যবহার দিয়ে মানুষের মনের গভীরে নিজের স্থান করে নিতেন । তার মনটা ছিলো সাদামাটা । মানুষ আর সমাজের কিভাবে উপকার করা যায় এটাই ছিলো তার ধ্যন।

বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের সাইদখালিতে ১৩৭২ সনের ৩০ চৈত্র, ১৩৮৫ হিজরীর ২১শে জ্বিলকদ ১৯৬৬ সালের ১৩ এপ্রিল বুধবার, আল্লামা সাঈদী এবং বেগম সালেহা সাঈদীর ঘর আলো করে জন্মেছিলেন ।

প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেন, পল্লী মঙ্গল স্কুলে পরে খুলনার আলীয়া মাদরাসায় । আমরা ঢাকা চলে আসি ফলে নরসিংদীর জামেয়া-ই-কাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলীম এবং তা'মীরুল মিল্লাত থেকে ফাজিল, এবং কামিলে পবিত্র মক্কার উম্মুল ক্বুরা ইউনিভারসিটিতে তাফসীরের উপর ডিগ্রি নেন ।

শিক্ষা জীবন শেষ হয়নি এরই মধ্যে আম্মা, সাইয়েদা সুমাইয়া নামের এক মেয়েকে পছন্দ করলেন । দাদা ছুটিতে দেশে আসলে আম্মা জানালেন বিয়ের কথা । দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাইয়েদ এস এম এইচ হুমায়ুন সাহেবের বড় মেয়ে ১৯৯০ সালের ২৫শে জুন আমাদের ভাবী হয়ে বাসায় এলেন ।

মাওলানা রাফীক সাঈদীর মেয়ে তাসনুভা তামান্না ও ইশরাত লুবায়না, দুই নয়নের দুই মনি এবং কলিজার টুকরা মুনাওয়ার জিশান সাঈদী একমাত্র ছেলে ।

তিনি ব্যবসা শুরু করলেন । গ্লোবাল পাব্লিশিং নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক । আরাফাত ডাইজেস্ট নামে মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করলেন । রাফীক বিন সাঈদী রচিত " ইসলামী জীবন্ধারা " নামক বইটি ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা অর্জন করে । এ গ্রন্থ ছাড়াও তিনি নিয়মিত জাতীয় পত্রিকায় সমকালীন সমস্যা নিয়ে লেখা লেখি করতেন এবং বহু গ্রন্থের সম্পাদনা করেছেন ।

বুদ্ধি বিকাশের পর থেকেই তিনি, বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন, অগনন মানুষের প্রান প্রিয় মুফাসসীরে কুরআন, শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পদাঙ্ক অনুসরনে সচেষ্ট ছিলেন । এ পর্যায়ে তিনি পবিত্র কুরআনের প্রচার, প্রসার এবং মানুষকে কুরআনের মহান শিক্ষার আলোকে জীবন গঠন করে মহামুক্তির পথে ধাবিত করার লক্ষে আত্মনিয়োগ করলেন। এ লক্ষ ও উদ্দেশ্যে তিনি মাতৃভূমি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পবিত্র কুরআনের মাহফিল করেন । আব্বা আল্লামা সাঈদীর নাম শুনলে মানুষ যেমন বাধ ভাঙা জোয়ারের মত মাহফিলের দিকে ছুটে আসে তেমনি বড় ভাইএর মাহফিলেও অগনিত মানুষের আগমন ঘটতো । শুধু দেশেই নয়, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তিনি অসংখ্য মাহফিলে কুরআনের জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতার মাধ্যমে শ্রোতাদের আল-কূরানের দিকে আকৃষ্ট করেছেন । অনেকেই তার বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে জীবন্ধারা বদলে ফেলেছেন, ফিরে এসেছেন ইসলামের সুশিতল ছায়াতলে।

একারনে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি তার কণ্ঠ স্তব্ধ করার লক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাহফিল বন্ধ করার জন্য বাধার সৃষ্টি করেছে এবং কোন কোন স্থানে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে ।

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান : আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ।
চেয়ারম্যান : সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানীয়া ট্রাস্ট ।
সভাপতি : দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা খুলনা ।
প্রতিষ্ঠাতা : দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া মহিলা মাদরাসা ।

মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর উদ্যোগে দিগন্ত টেলিভিশনে " সরল পথ " নামে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয় এবং তার মনোমুগদ্ধকর উপস্থাপনায় অতিদ্রুত দেশ বিদেশে জনপ্রিয়তা পায় । সদা হাস্যোজ্জল, অত্যন্ত মিশুক এই মানুষটি অপরিচিত জন্দের অতি সহজেই আপন করে নেবার এক অদ্ভুত বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন । অধিনস্তদের সাথে তিনি বন্ধুসুলভ আচরন করতেন এবং নিজের জন্য যা পছন্দ করতেন অধিনস্তদের জন্যও তাই পছন্দ করতেন । অভাবী লোকদের গোপনে দান করা আব্বার মতোই তার স্বভাব ।

আলহাজ্ব রাফীক বিন সাঈদীর সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন আব্বা আল্লামা সাঈদী । আব্বার পাশে থাকা, আব্বার সান্নিধ্য নেয়াই বড় কাজ । আব্বা যতক্ষণ বাসায় থাকতেন তিনিও বাসায় থাকতেন । আব্বা ৩৫ বছর ডায়াবেটিকসের রুগী, তাই রাতে নিয়মিত ছাদে হাটতেন । এক ঘন্টা । আব্বার সাথে আমরা চার ভাই হাটতাম। কল্পিত অভিযোগে ইসলামের দুষমনেরা মিত্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের পর আজ প্রায় চার বছর ছাদ খালি, আমরা কেউ হাটতে যাই না । নির্দোষ পিতার কারামুক্তির লক্ষে তিনি সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। মামলার তদারকি করতেন সেই সাথে দেশ বিদেশের ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশিল সমাজ এবং নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী কাছেও তিনি আব্বা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত লিখিত আকারে পেশ করেছেন । জাতীয় পত্রিকা গুলোতে একাধিকবার আব্বা সম্পর্কে লিখে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আব্বার মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন । সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন ভিন্ন করে আব্বা মুক্ত হয়ে পবিত্র কুরআনের ময়দানে আবার ফিরে আসবেন, তার সুললিত কন্ঠে তাফসীর করবেন, এটাই ছিলো তার বড় স্বপ্ন। কিন্তু এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন তিনি দেখে যেতে পারলেন না ।

তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলাকালে তিনি নিয়মিত কোর্টে উপস্থিত থাকতেন । আমার লন্ডন প্রবাসী ছোট ভাইও দেশে ফিরে আসে অর্থাৎ আমরা চার ভাই প্রতিদিনই কোর্টে থাকতাম । যেদিন তিনি এ নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করেন সেদিনও ট্রাইবুনালে উপস্থিত ছিলেন । দুপুরের দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব করায় ছোট ভাই মাসুদ সাঈদী নিজে গাড়ি চালিয়ে ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপালে নিয়ে যায় । কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ । সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের জন্য যে আয়ুষ্কাল নিরধারন করেছেন, এর এক মুহূর্ত পূর্বে বা পরে কারোই মৃত্যু হয়না।

আল্লাহর ফয়ছালা অনুযায়ী জনপ্রিয় মুফাসসীরে কুরআন মাওলান রাফীক ১৪১৯ সনের ৩০ জ্যোস্ট, ১৪৩৩ হিজরী ২২ রজব, ২০১২ সালের ১৩ জুন বুধবার তিনি ইন্তেকাল করেন । জন্ম আর মৃত্যুর তারিখ ও বারের প্রতি লক্ষ করলে এক অদ্ভুত সামঞ্জস্য দেখা যায় ।

মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী (রহঃ) এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ বুধবার জন্মে ছিলেন আবার জুন মাসের ১৩ তারিখ বুধবার ইহজগত ত্যাগ করেছেন । পার্থক্য শুধু মাসের ।

তার মৃতদেহ গোসল করিয়ে এহরামের কাপড় কাফনে জড়িয়ে ফ্রীজিং গাড়িতে আমাদের বাসায় রাখা হলো । অনেক আত্মীয় স্বজন ভক্ত অনুরক্তদের সমবেদনায় সিক্ত হলাম । বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিবর্গ বাসায় এসে সমবেদনা জানিয়েছেন ।

বিশেষ করে এই নাম গুলো বলতেই হয় -এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসাইন । মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্ট্রের সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া উদ্দীন আহমেদ পিরোজপুর । মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্ট্রের সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ।
৯ নং সেক্ট্রের সুন্দরবনের সাব সেক্টর এর সেকেন্ড ইন কমান্ড শামসুল আলম তালুকদার । বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বাবুল গাজী । বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী শেখ বাদশাহ । বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বাতেন , বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনান । আমীর মকবুল আহমেদ । আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান । সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস । সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম । সাবেক সচীব এম কে আনোয়ার । মাওলানা কামাল উদ্দীন জাফরী । মুফতী খলিলুর রহমান মাদানী । মাওলানা আব্দুস সুবহান । জয়নাল আবেদিন । ডাঃ মইন খান । আরো অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিবর্গ । আমরা সাঈদী পরিবার তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ ।

আশা করেছিলাম আব্বাকে অন্তত ৬ ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেবে, আব্বা বাসায় এসে আম্মাকে, ভাবী, দাদার বড় মেয়ে তামান্না জামাই মাহফুজ, ছোট মেয়ে নাবীলা একমাত্র ছেলে মুনাওয়ারকে সান্তনা দিবেন । ঢাকা জেল থেকে জেলে যাওয়া আসা সব মিলিয়ে ৪৫-৫০ মিনিট জানাজার মাঠে ছিলেন । লক্ষ লক্ষ মানুষের অশ্রু স্বজল অবস্থায় আব্বা নামাজে জানাজার ঈমামতি করেন । উল্লেখ্য, এদিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গায়েবানা জানাজা হয়েছে ।

আব্বাকে নিয়ে মনে মনে আশংকা করছিলাম । এরপর মাসুদকে ঢাকায় রেখে আমি দাদার মৃতদেহ খুলনা দারুল কুরআন সিদ্দিকীয় কামিল মাদরাসার মাঠে নিয়ে যাই । এ প্রতিষ্ঠানের তিনি চেয়ারম্যান । আমার আশংকাই সত্য হলো আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তার বুকে ব্যথা উঠেছে । মাসুদ অবশ্য আমাকে ফোনে সব বলেনি শুধু জানালো আব্বাকে বারডেমে ভর্তি করা হয়েছে । মাদরাসা মাঠে মানুষ সঙ্কুলান হচ্ছেনা বিধায় পল্লী মঙ্গগ্ল স্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় জুম্মাবাদ সেখানে লক্ষাধিক মুসুল্লীর মাঝে আওয়ামীলীগ নেতা খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বক্তব্য রাখেন এবং রাফীক সাঈদী সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেদে ফেলেন । উপস্থিত ছিলেন জনাব নজরুল ইসলাম মঞ্জু এম্পি । জানাজা পড়ালেন মাওলানা মোনোয়ার হোসাইন মাদানী ।
সেখান থেকে আমরা মাতৃভূমি পিরোজপুরে রওনা হই । সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে আমার সাথে জনাব নজরুল ইসলাম মঞ্জু এম্পি রওনা হলেন । মাওলানা রাফীক প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের বায়তুল হামদ জামে মসজিদের দক্ষিন পাশে তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন । আত্মীয় অনাত্মীয় সকলেই কাদছেন । আসর বাদ জানাজা পড়ালেন মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রিন্সিপ্যাল টগড়া কামিল মাদরাসা । উল্লেখ্য ১৫/৬/২০১২ তার দাফনের দিনে জুম্মাবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহ পবিত্র মাক্কা মুকাররমা এবং মদীনা মুনাওয়ারাতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ।

[ জানাজা শেষে জেলে নেওয়া মাত্র ১৪/০৬/১২ তারিখে আব্বার হার্ট এয়টাক করে । জেল কর্তৃপক্ষ ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫টি ব্লক ধরা পরে । বারডেম জানায় এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয় । ৩ দিন পর জেল সুপার আব্বাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে আব্বার হার্টে ৩টি রিং বসানো হলো । ৫ দিন পর আবার বারডেম হাসপাতাল আনা হয় সেখানে আব্বা প্রায় ১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন । এই পুরো ১ মাস সময়ে আব্বার অনুপুস্থিতিতে তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিত্রকিত এবং পদত্যাগী বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপ করেছেন সেই সাথে বিচার একদিনের জন্যও বন্ধ রাখেন নি । এমনকি মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়েও সেদিন সেই মুহূর্তে কোর্ট মুলতবি করেন নি । ]

আব্বা আম্মার কলিজার টুকরা । যাকে আব্বা আম্মা আদর করে বুলবুল কিংবা বুলু ডাকতো । আমরা ভাইরা বোনরা যাকে শ্রদ্ধা ভরে দাদা ডাকতাম তাকে আমার ছোট ভাই নাসীম সাঈদী ও বাবাজী মাহফুজ এবং আমি অন্ধকার কবরে শুয়ে দিয়েছি । দাদাকে হারিয়ে আজ আমি অনুভব করি আমার মাথার উপর ছায়া, মায়ার হাত নেই । আমি অসহায়, দাদার অনুপুস্থিতি আমাকে সারাক্ষন কাদায় । এখন আর আমাকে বলার কেউ রইলো না - তোর ভয় নেই, চিন্তা করবি না । তোর কোন অসুবিধা হবে না ।

মায়াময় ইয়া আল্লাহ, তাকে জান্নাতের পোশাকে ঘুম পরিয়ে রেখো । দয়াময় ইয়া আল্লাহ, অন্ধকার কবরটি জান্নাতের আলো দিয়ে ভরে দাও ।
মহান আল্লাহ তা'য়ালা তার জীবনের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে দিয়ে সৎকাজ গুলো কবুল করে শাহাদাতের মর্যাদায় জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন ।

আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন ।

উৎসঃ Shameem sayedee- শামীম সাঈদী পেজ।

এম/এ/আর/সেনবাগ

Post a Comment

Previous Post Next Post