মিরপুরের বিহারি পল্লীতে বর্বর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যে মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হল, পুলিশের গুলিতে তাদেরই লোক মারা গেল কেন? স্থানীয় কিছু লোক বিহারিদের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এর নেপথ্যে কে রয়েছে তা তদন্ত করে খুঁজে বের করতে হবে।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। তারা যদি মনে করেন এই সরকার চির জীবনের জন্য ক্ষমতায় আছেন, তবে ভুল করছেন। বিহারি পল্লীতে নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবিলম্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশী ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মীরপুরে উর্দূভাষী ক্যাম্পে পরিকল্পিত হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৯জন ও পুলিশের গুলিতে ১জন নিহতের প্রতিবাদে উর্দূ স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, শবে-বরাতের রাতে মিরপুরের কালসিতে বিহারি পল্লীতে যে নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে তা নারায়ণগঞ্জের বর্বরতার চেয়ে কম নয়। মিডিয়ায় প্রাথমিক ভাবে বলা হয় আতশবাজিকে কেন্দ্র করে বিহারি পল্লীতে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু একটি পরিবারের ৯টি লোককে তালাবদ্ধ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা আতশবাজির জন্য ঘটতে পারে না। স্বাধীন দেশে এভাবে তাদেরকে জীবন দিতে হবে তা কল্পনা করা যায় না।
তিনি বলেন, বিহারিদের নতুন প্রজন্ম জন্মগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এদেশের পাসপোর্ট পাচ্ছেন না।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মান্না বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ।
উর্দূ স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট-এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হিরা, সাংবাদিক আবু সাইদ খান প্রমুখ।
উৎসঃ শীর্ষ নিউজ