বিএনপি- জামায়াতের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ ইসির

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সংঘর্ষের পরিস্থিতি এড়াতে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সম্ভাব্য সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই সুপারিশে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত রোববার একটি চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর ওই সুপারিশগুলো করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে সেলিম ওসমানে বিপক্ষে না যেতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের হুমকি দেওয়া হবে। এ অবস্থায় বিরোধী আইভী (সেলিনা হায়াত আইভী) গ্রুপ ও বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করতে পারে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের ভূমিকা নিয়ে দেশের জনগণের দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জের দিকে নিপতিত রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি অবনতি হলে সরকারেরর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এজন্য চিঠিতে ৩টি সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম সুপারিশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলসহ ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় সুপারিশে নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের প্রয়োজন বিবেচিত হলে আগাম গ্রেফতার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় সুপারিশে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

‘অতীব জরুরি এবং গোপনীয়’ সিল দেওয়া চিঠির অনুলিপিতে মহাপুলিশ পরিদর্শক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে উল্লেখ করা হয়েছে। আর চিঠির বিষয়বস্তুতে বলা হয়েছে- ‘নারায়নগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিধি মোতাকের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছে ইসি।’

আগামী ২৬ জুন এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ৬৭৪টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান (লাঙ্গল প্রতীক), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (গামছা প্রতীক), নাগরিক পরিষদের প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরাম (আনারস প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ (চিংড়ী প্রতীক)।

উৎসঃ বাংলানিউজ২৪

Post a Comment

Previous Post Next Post