কবিরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে যুবকের কারাদন্ড ||

কবিরহাট: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আলমগীর মোর্শেদ নামের এক যুবককে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় মো. হেদায়েত উল্যাহ্ নামের এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।

রোববার গণিত পরীক্ষা চলাকালীন কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা ইসলাম উপজেলার কালামুন্সি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ দন্ড প্রদান করেন।  দন্ডপ্রাপ্ত আলমগীর মোর্শেদ উপজেলার ছবিরপাইক গ্রামের মোর্শেদুল হকের ছেলে এবং বহিস্কৃত মো. হেদায়েত উল্যাহ্ আবদুল্যাহ্ মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী। সে ধূমচর গ্রামের আবুল হোসেনে ছেলে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার জেএসসি গণিত পরীক্ষা চলাকালীন কালামুন্সি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী হেদায়েত উল্যাহ্ তার গৃহশিক্ষক আলমগীর মোর্শেদকে প্রশ্নপত্র বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে গৃহশিক্ষক ওই প্রশ্নের ফটোকপি করে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করছিল। এমন অবস্থায় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও গণিত প্রশ্নের দুটি ফটোকপিও জব্দ করা হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটককৃতকে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে সর্বোনিন্ম দন্ড দুই বছরের জেল দেওয়া হয়।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা ইসলাম দন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে দুই বছরের দন্ড এবং শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তকে কবিরহাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post