সেনবাগ: অন্তহীন সমস্যা নিয়ে কোন রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার জিরুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। জরাজীর্ণ অবস্তায় নড়বড়ে ভবন নিয়ে চলছে এর শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়টি প্রয়োজনীয় শ্রেনী কক্ষ, আসবাবপত্র সংকট এবং চিত্তবিনোদনের জন্য নাম মাত্র মাঠ রয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও এর ভেতরে নেই কোন সংযোগ। নানা প্রতিকুলতা মধ্যেও ঝরে পড়া রোধ এবং শত ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা সরকারের এ কর্মসূচী বাস্তবায় হলেও প্রতিষ্ঠানটির ভৌত অবকাঠামো নেই বললেই চলে। এ যেন প্রবাদ বাক্য টি “ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার” এর মতো।
বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক সহ মোট ৫জন শিক্ষক থাকলেও নেই সহাকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) শিক্ষক। গ্রামের ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা, রোদ, বৃষ্টি, ঝড় সহ নানা প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে বিদ্যালয় উপস্থিত হলেও নেই ঠিক মতো বসতে বসার জায়গা। রোদ হলে গরম, বর্ষা এলে বৃষ্টির পানি, শীত এলে কুয়াশা এর মধ্যে চলে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের এক মাত্র আধাপাকা ভবন রয়েছে নামে মাত্র। তার উপরে টিন গুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় জং (মরিচা) ধরে চিদ্র হয়ে আছে অনেক আগেই। এ কারনে আকাশ থেকে বৃষ্টি এলে বাহিরে পানি পড়ার আগেই পড়ে শ্রেণী কক্ষে। প্রতিটি শ্রেনী কক্ষ ও অফিস রুমের একই অবস্থা। বৃষ্টির পানি, কুয়াশা পড়ায় শ্রেনী কক্ষ ও অফিস কক্ষে বই পত্র প্রয়োজনীয় মুল্যবান সম্পদ নষ্ট হয়ে যাছে। সাবেক শিক্ষা কর্মকতা মাহাবুবুর রহমান স্বরজমিনে পরির্দশনে এসে স্ব চক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক গুলো ব্যাঞ্চ অকেজো হয়ে শ্রেনী কক্ষে পড়ে আছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীর সবার জায়গা কমে গেছে অপরদিকে ব্যাঞ্চ গুলো বোঝা হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের সামনে বিদ্যুতের খুটি থাকলেও কোন সংযোগ নেই। গরমে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর।
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নাম মাত্র যে মাঠ রয়েছে তাও নিরাপত্তা কোন বেষ্টনি না থাকায় স্থানীয় লোকজন বেশির ভাগ সময় গরু, ছাগল বেঁধে রাখে। অপরদিকে বখাটেরা রাতে আড্ডা জমায় অনেক সময় দরজার তালা নষ্ট করে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিদ্যালয়রে পরিচালনা পষিদের একজন সদস্য।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানায়, আমি ব্যক্তিগত ভাবে একাধিক বার সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। কিন্তু কেন কি কারনে হচ্ছে না আমি আর বেশি কিছু বলতে পারবোনা।
প্রধান শিক্ষক মোঃ আল-আমিন জানায়, বিদ্যমান সমস্যা গুলো তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কাদের মিয়া জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি মাত্র। কি কি সমস্যা বিদ্যালয়টিতে আছে জেনে সামাধানের জন্য চেষ্টা করবো। তবে এজন্য একটু সময় লাগতে পারে।
সেনবাগ প্রতিনিধি/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/৯ ডিসেম্বর ২০১৪।