ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে রোনালদো ও মেসির দৃষ্টিভঙ্গি

বছরে ফিলিস্তিনিকে ৩মিলিয়ন ডলার দিয়ে সহায়তা করেছে এই মানুষটি। নাম তার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো! তিনি বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্লেয়ার। তার ধর্ম কিন্তু ইসলাম না, সে খৃষ্টান। কিন্তু তার মানবতাবোধ আর ১০জন খ্রিষ্টানের চেয়ে উন্নত।

বিশ্বকাপের প্রীতি ম্যাচে এই তারকা ইসরায়েলি প্লেয়ারদের সাথে ক্ষোভে শার্টও বদলাননি। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম হওয়া লাগে না। দরকার মানবতার!

আজ জেনে নিন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়ার এবং রিয়াল মাদ্রিদ সুপারষ্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সম্পর্কে কিছু তথ্য

রোনালদো তার ২০১০-১১ মৌসুমে অর্জিত গোল্ডেন বুটটি ফিলিস্তিনি মুসলমান অনাথ শিশুদের চিকিৎসা ও শিক্ষা বাবাদ দান করেন যার মূল্য ১৫কোটি টাকা।

রোনালদো তার অর্জিত বাৎসরিক আয়ের একাংশ মুসলিম এতিমখানা ও গির্জায় দান করেন।

ইসরাইল মুসলিমদের শত্রু বলে রোনালদো ইসরাইলের খেলোয়ারের সাথে জার্সি বিনিময় করেন নি।

ইসলামের প্রতি এই উদারতা দেখে সৌদি রাষ্ট্রপতি তাকে উপহার হিসেবে পবিত্র কোরআন শরীফ দেন এবং রোনালদো তা সাদরে গ্রহন করেন।

PEPSI কোম্পানির আয় দিয়ে ইসরাইল তাদের যুদ্দের অস্র তৈরি করে বলে, রোনালদো পেপসির এড করেন না।

রোনালদো তার মানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে সিরিয়ায় ৫হাজার ঘর তৈরি করে দেন।

রোনালদো চ্যাম্পিয়ানস লীগ জয়ের জন্য দল থেকে যে টাকা বকসিস পেয়েছিল, তা দাতব্য চিকিৎসালয়ে দান করেন।

রোনালদো এক শিশুর ব্রেইন অপারেশনের জন্য নিজের অটোগ্রাফসহ জার্সি এবং ব্রান্ডের একজোরা বুট বিক্রি করে টাকা দেন।

অন্যদিকে ফুটবল বিশ্বের আরেক তারকা লিওনেল মেসি

যার সমর্থক আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।
সে আবারো ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন পূনঃব্যক্ত করলেন।

অনেকেই হয়তো জানেন না, ইসরাইলি ইয়াহুদীদের সাথে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসীর সখ্যতা বেশ পূরনো!

শুধু তাই নয়, তিনি একজন ঘোর জয়নবাদীও! বিশ্বকাপ ২০১৪ এর ফাইনালের জন্য অপেক্ষমান এই তারকা সম্প্রতি রিও ডি জেনেরিও'র একটি হোটেল কক্ষ থেকে টুইটারের মাধ্যমে ইসরাইলের প্রতি তার সমর্থনের কথা পূনঃব্যক্ত করেছেন।

সেই সাথে একটি কালো জার্সিতে 'STAND WITH ISRAEL' লিখা একটি জার্সি হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন লিওনেল মেসি।

এর আগে গত বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিন-ইয়ামীন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট শিমন প্যারেসের আমন্ত্রনে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে সঙ্গীদের নিয়ে ইসরাইল সফর করেন।

এবং সেখানে একটি উষ্ণ সংবর্ধনায় তিনি নিজেকে জয়নবাদের একনিষ্ঠ সমর্থক বলে জানান।

ইসরাইল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মুসলিমদের গণহত্যা করতেছে, আর মেসি ইসরাইলকে সমর্থন করতেছে।

বি দ্রঃ উল্লেখ্যিত দুজন তারকা ফুটবলারই কিন্তু খৃষ্টান। পার্থক্য শুধু দুজনের চিন্তার। একজন ইসরাঈলকে হত্যাকারী মনে করে, অন্যজন ইসরাঈলকে স্বাধীনতাকামী মনে করে।

এখন প্রশ্ন আপনার বিবেকের কাছে মুসলিম হিসেবে আপনি কাকে সমর্থন দিচ্ছেন ? কাকে সমর্থন দিবেন ? কাকে সমর্থন দেওয়া উচিত ?

উৎস: মিডিয়া ডটকম

Post a Comment

Previous Post Next Post