৩৩তম বি সি এস (প্রশাসন)-এ নোয়াখালীর হাতিয়ার দুই কৃতী সন্তান

৩৩তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার জন্য অসামান্য গৌরব বয়ে এনেছেন হাতিয়ার দুই মেধাবী সন্তান- নুরুল হাই মোঃ আনাছ ও মোতাছেম বিল্যাহ শামীম।

কয়েক দিন আগে ৩৩তম বিসিএস এর চুড়ান্ত নিয়োগের গ্রেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।

নুরুল হাই মোঃ আনাছঃ-
নুরুল হাই মোঃ আনাছ চর ঈশ্বর ইউনিয়নে তালুকদার গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম এ এন এম রফিকুল হাই, মাতা মনোয়ারা বেগম। উল্লেখ্য যে, তিনি হাতিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মরহুম মাওলানা আবদুল হাই এর দৌহিত্র।

তিনি আফাজিয়া হাই স্কুল থেকে ২০০৩ সালে এস এস সি এবং চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন, অতঃপর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। তিনি ৩১তম বি সি এস শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে হাতিয়া দ্বীপ সরকারী কলেজে শিক্ষাকতা করছিলেন।

মোতাছেম বিল্যাহ শামীমঃ-
মোতাছেম বিল্যাহ শামীম ১৯৯১ সালে চরকিং ইউনিয়নের উত্তর গামছাখালী গ্রামে জম্ম গ্রহন করেন। তার পিতা অবসর প্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ হানিফ এবং মাতা জান্নাতুল ফেরদাউস। তিনি হাতিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম (দুটিই গোল্ডেন A+) পাশ করেন, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ নিয়ে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

শামীম জানান, তার জীবনে এত বড় সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশী অবদান তার মা জান্নাতুল ফেরদাউসের। আলিম পাশ করার পর মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে কঠোর বাঁধা দেয় এবং টিসি দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তার মা মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক কাঁন্নাকাটি ও অনুরোধ করে ছেলের টিসি আদায় করে নেন। মায়ের গয়না বিক্রির টাকায় সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় ।এবং টিওশনি করে করে সে নিজের লেখা পড়ার খরচ জুগিয়েছিল।

আনাছ ও শামীম আমাদের নোয়াখালীর হাতিয়ার গর্ব। হাতিয়াবাসী প্রত্যাশা করে, হাতিয়ার অনেক স্বার্থপর কৃতী সন্তানদের মতো তারাও হাতিয়াকে ভুলে যাবেনা।

নোয়াখালী প্রতিনিধি/ দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/১৭ জুলাই ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post