মাদ্রাসা বোর্ডে পুকুর চুরি

11 Jun, 2014
একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কৌশলে ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে প্রতি বছরই কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে বোর্ডের নামে এ টাকার 'ক্রস চেক' ইস্যু হলেও গোপন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তা তুলে নেয়ায় বার্ষিক অডিটেও এ ঘটনা ধরা পড়েনি। তাই এতদিন এ ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল বোর্ড কর্তৃপক্ষ
এম মামুন হোসেন

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কৌশলে ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে প্রতি বছরই কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। বোর্ডের নামে এ টাকার 'ক্রস চেক' ইস্যু হলেও গোপন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তা তুলে নেয়ায় বার্ষিক অডিটেও এ ঘটনা ধরা পড়েনি। তাই এতদিন এ ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ফাজিল ও কামিল স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম অ্যাফেলেটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ মার্চ এক চুক্তি অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ফাজিল ও কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ কাজের দায়িত্ব পায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ওই চুক্তিতে ফাজিল (্স্নাতক) প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী প্রতি ১২৩.০৩ টাকা, দ্বিতীয় বর্ষের ১১৩.৫৫ টাকা, তৃতীয় বর্ষে ১৩৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কামিল (স্নাতকোত্তর) স্তরে পরীক্ষার্থী প্রতি দুই বর্ষে বিভিন্ন হারে ফি নির্ধারণ করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, দেশে ফাজিল ও কামিল স্তরে এক হাজার ২৭০টি মাদ্রাসা। এতে ফাজিলে এক লাখ ২০ হাজার ও কামিলে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এ হিসাবে প্রতি বছর পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ খাতে ফাজিল স্তরে এক কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৯.৬৫ টাকা; কামিল স্তরে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। গত সাত বছরে আয়ের অঙ্ক দাঁড়ায় ১৪ কোটি টাকারও বেশি। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ অর্থ লেনদেনের কোনো হিসাব নেই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে। আয়কৃত অর্থের এক টাকাও জমা হয়নি মাদ্রাসা বোর্ডের নিজস্ব ব্যাংক তহবিলে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০০৭-২০০৮, ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩ ও ২০১৩-২০১৪-এই চারটি অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাতে ওই খাতে আয়ের কোনো উল্লেখ নেই।
জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড তাদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব বকশীবাজারস্থ সোনালী ব্যাংক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড শাখার মাধ্যমে পরিচালনা করে। ওই ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোনো আর্থিক লেনদেন ওই শাখা থেকে পরিচালিত হয়নি। অথচ ওই শাখায় অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য কোথাও বোর্ডের কোনো ব্যাংক হিসাব নেই। বোর্ডের অ্যাডিন্যান্স অনুযায়ী যাবতীয় লেনদেন (নগদ ও চেক) রেজিস্ট্রার বরাবর জমা হবে। বোর্ডের হিসাব কর্মকর্তা মো. শাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদ্রাসা বোর্ডের যাবতীয় লেনদেন সোনালী ব্যাংকের এই শাখা থেকেই পরিচালিত হয়। তবে ফাজিল ও কামিল স্তরের ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ বাবদ আয়কৃত অর্থ বোর্ডের এ হিসাবে জমা হয়নি। এ ধরনের কোনো আয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম মিয়া (বর্তমানে এনসিটিবির চেয়ারম্যান) স্বাক্ষরিত এক পত্রের সূত্র ধরে মাদ্রাসা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের 'পুকুর চুরি' ধরা পড়ে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ কাজের বকেয়া অর্থ পরিশোধের তাগিদ দেয়া হয়েছিল। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালের ফাজিল (্স্নাতক) প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ছিল ৩৭ হাজার ৭৪১ জন, দ্বিতীয় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ৩৫ হাজার ৩২৩ জন এবং তৃতীয় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩০০ জন। তিন বর্ষের ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ বাবদ মোট এক কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৯.৬৫ টাকার বিলের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম চেকের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা ও দ্বিতীয় চেকের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে। চিঠিতে অবশিষ্ট ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ টাকা পাওনা পরিশোধের তাগিদ দেয়া হয়।
এরপর শিক্ষা বোর্ডের ১৬৮তম বোর্ড সভায় শ্রীপুর ভাংনাহাটি রহমানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী ফাজিল ও কামিল থেকে আয়ের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান। সভায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম ছাড়াও বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কার্যবিধিতে এ বিষয়টি না থাকায় কর্তৃপক্ষ তা এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মসলেম উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ মাদ্রাসা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টার করে থাকে। এজন্য বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন হারে ফি দেয়া হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যানের ফরোয়ার্ডিংয়ে চেকের মাধ্যমে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হিসাব) আকরামউদ্দিন বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আকরামউদ্দিন বিশ্বাস জানান, চুক্তি অনুযায়ী মাদ্রাসা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফাজিল ও কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ কাজ করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চেকের মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, 'ডাটা প্রসেসিং অ্যান্ড সাপোর্ট গইঈঈ (মাদ্রাসা বোর্ড কম্পিউটার সেন্টার)' নামে চেক ইস্যু করা হয়। যদি কম্পিউটার সেন্টার মাদ্রাসা বোর্ডের হয়ে থাকে তাহলে এ আয় অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের জন্য বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করছে।
মাদ্রাসা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ওই চুক্তি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বোর্ডে পাঁচজন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে অধ্যাপক রশিদ আহমেদ এবং এ কে এম ছায়েফউল্ল্যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে অল্পসময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক মো. ইউসুফ (২৮ ডিসেম্বর ২০০৬-২৯ নভেম্বর ২০১০) মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর তিনি ছাড়াও সর্বাধিক সময়ে দুই দফায় মো. আবদুন নূর (১৫ ডিসেম্বর ২০১০-২৬ ডিসেম্বর ২০১৩) বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে আছেন। অভিযোগ আছে, বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কম্পিউটার সেন্টারের সিস্টেম এনালিস্ট মাহফুজ মোর্শেদ সবকিছুর 'নাটের গুরু' এবং অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এই 'পুকুর চুরি'র বিষয়টি জানতেন। এ ব্যাপারে বর্তমানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। এক প্রশ্নের জবাবে বকেয়া পাওনা পরিশোধে তার স্বাক্ষরিত চিঠির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বোর্ডের জনবল, বিদ্যুৎ, মেশিনারি, কাগজ ব্যবহার করে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এ বাবদ প্রাপ্তঅর্থ গোপন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আত্মসাত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টারের মাধ্যমে কোটি টাকা লোপাটের পর ধানম-ি থেকে কম্পিউটার সেন্টার বোর্ডে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মসলেম উদ্দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এক পত্রে ফাজিল ও কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের জন্য বোর্ড কম্পিউটার সেন্টার ধানম-ি এলাকা থেকে পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা সচিবের কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা অধিভুক্তি ও পরীক্ষাসহ যাবতীয় কাজ বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কম্পিউটার সেন্টার সম্পাদিত চুক্তিনামা অনুযায়ী ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এ যাবৎ শিক্ষা বোর্ড কম্পিউটার সেন্টার, বাড়ি নং-৪৪, রোড নং-১২/এ ধানম-ি আবাসিক এলাকা থেকে সুষ্ঠুভাবে এ গোপনীয়তা রক্ষা করে সম্পন্ন হয়ে আসছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ধানম-ি এলাকা থেকে বকশীবাজারস্থ মাদ্রাসা বোর্ডে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে পরীক্ষার ফলাফল সম্পূর্ণ স্বাধীন, সুষ্ঠুভাবে ও গোপনীয়তা রক্ষা করে প্রক্রিয়াকরণের স্বার্থে শিক্ষা বোর্ড কম্পিউটার সেন্টার ধানম-িতে রাখার অনুরোধ জানানো হয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদয় নির্দেশনার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড তাদের কম্পিউটার সেন্টারটি ধানম-ি থেকে নিজস্ব ভবনে নিয়ে আসে। কিন্তু সিস্টেম এনালিস্ট ধানম-িতেই থেকে যান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফউল্ল্যা বলেন, বোর্ডের অ্যাডিন্যান্স অনুযায়ী যাবতীয় নগদ ও চেকের লেনদেন রেজিস্ট্রার বরাবর জমা হবে। তিনি বোর্ডের রেজিস্ট্রার ও চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে ফাজিল ও কামিলের ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ খাতের আয়ের কোনো অর্থ মাদ্রাসা বোর্ড পায়নি। মাদ্রাসা বোর্ড শাখা সোনালী ব্যাংকের 'রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড' এ হিসাবে যাবতীয় অর্থ জমা ও লেনদেন হয়ে থাকে। ওই হিসাব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়।
এ ব্যাপারে সিস্টেম এনালিস্ট মাহফুজ মোর্শেদ যায়যায়দিনকে জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তিনি পরের দিন প্রতিবেদককে যোগাযোগ করতে বলেন। তার কথা মতো তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছে মাদ্রাসা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টার। বোর্ডের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে অবগত আছেন। এছাড়া আর্থিক বিষয় নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
উৎসঃ   যায়যায়দিন

এম/এ/আর/সেনবাগ

Post a Comment

Previous Post Next Post