ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ২৪ নেত্রীকে গ্রেফতার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ------ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ঢাকায় ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী,সেক্রেটারী জেনারেলসহ ২৪জন নেত্রীকে কোন মামলা ছাড়া অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান। একযুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ৯০% মুসলমানদের দেশে বর্তমান সরকার পর্দানশীল নারীদেরকে কোন মামলা ছাড়া বিনা অপরাধে গ্রেফতার করেছে। ইসলামী ছাত্রীসংস্থা একটি ইসলামী ছাত্রী সংগঠন। তারা দেশের আইন-কানুন মেনে সম্পূর্ণ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লক্ষ লক্ষ ছাত্রীদেরকে নৈতিকভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। পর্দা করে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার তাদের আছে। সরকার দেশের আইন,সংবিধান, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের গ্রেফতার করেছে।

যে মুহুর্তে দেশে খুন, গুম,ধর্ষন,রাহাজানী,ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রতিপক্ষের সমর্থকদের পায়ের গোড়ালি কর্তন,চাঁদাবাজীতে দেশের সমগ্র নাগরিক সমাজ অতিষ্ট ঠিক তখনই এসব অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার না করে পর্দানশীল নারী, ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা,কর্মীদের গ্রেফতার জাতীকে হতবাক করেছে। সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা কি অপরাধ? অন্যায়ের প্রতিবাদ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করা কি অপরাধ?

খুন, গুম, রাহাজানি, ধর্ষনের বিরুদ্ধে কথা বলা কি অপরাধ? অনৈতিক জীবন যাপনের বিপরীতে নৈতিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হওয়া কি অপরাধ? কোরআন পড়া,হাদিস পড়া,ইসলামী সাহিত্য পড়া কি অপরাধ? যদি তা না হয় তাহলে কেন ইসলামের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধ এ অন্যায় আচরন? বিবৃতিতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী,সেক্রেটারী জেনারেলসহ ২৪ জনকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানান এবং অন্যায় জুলূম নির্যাতন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সূত্রঃ জামায়াত প্রচার বিভাগ

Post a Comment

Previous Post Next Post