লক্ষীপুরে ডা. ফয়েজকে গুলির পর ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়

সাবেক র্র্যাব কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ সাঈদের নাম এখন সারাদেশে আলোচিত। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে ৩২ দিন রিমান্ডে থাকার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কীভাবে তার নেতৃত্বে সাতজনকে খুন করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয় তা বিস্তারিত বলেছেন আদালতে। শুধু সাত খুন নয়, তার গ্রেপ্তারের পর গুম-খুন ও হয়রানির আরো নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। শ্বশুর মন্ত্রীর প্রশ্রয়ে তারেক এসব অপকর্ম করেন বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকাকালে নয়টি খুন ও ছয়টি গুমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। গুম-খুনের শিকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের স্বজনরা ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে ডা. ফয়েজকে গুলির পর ছাদ থেকে ফেলে হত্যার ঘটনাটি অন্যতম। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর শহরের তেমুহানী এলাকায় ডা. ফয়েজ আহমদের বাসভবনে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাতে অভিযান চালায় র্র্যাব। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডা. ফয়েজের ছেলে ভবনের কার্নিশে আশ্রয় নেন। বাবাকে নির্মম ভাবে হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে বেলাল আহমেদ বলেন, র্র্যাব সদস্যদের দেখেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে যান। তিনি চেষ্টা করেন বাসা থেকে সরে যাওয়ার জন্য। তিনি ছাদের উপর উঠে কার্নিশে আশ্রয় নেন। কিছুক্ষণ পর দেখেন তারা (র্র্যাব) আব্বুকে ছাদে নিয়ে আসে। দীর্ঘসময় তারা আব্বুকে টর্চার করে। খুঁজতে থাকে তাকেও। তারেক সাঈদ সেদিনের অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আব্বুকে গুলি করে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।

উৎসঃ বিডিটুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post