চেষ্টাই আমাদের দায়িত্ব, বাকী সিদ্ধান্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের-নিজামী

সময়টা ছিলো চলতি বছরের ২৪ মার্চ। বিকেল বেলা। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা নিজামীর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষ ট্রাইব্যুনালে।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের পাল্টাপাল্টি যুক্তি উপস্থাপন শেষে দুই পক্ষকেই ধন্যবাদ জানালেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান এম ইনায়েতুর রহিম। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, রায় প্রস্তুত করে ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে। তত দিন পর্যন্ত সিএভি (কেস অ্যায়োটিং ভারডিক্ট) থাকবে। সমাপনী যুক্তিসংক্রান্ত লিখিত কিছু থাকলে তা জমা দেওয়ার জন্য উভয়পক্ষকেই ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তিনি।

এরপর পরই এজলাস ত্যাগ করলেন বিচারক। ট্রাইব্যুনালের কক্ষ ছেড়ে একে একে চলে যাচ্ছিলেন আইনজীবী ও সাংবাদিকরা।

আসামির কাঠগড়ায় একটি চেয়ারে ধবধবে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর টুপি পড়ে তখনও বসে ছিলেন জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।

হুইল চেয়ারে চড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে কাঠগড়ার সামনে থামলেন নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন নিজামী।

হাত বাড়িয়ে হাসিমুখে সালাম বিনিময় করলেন আইনজীবীর সঙ্গে। মিজানুল ইসলাম নিজামীর উদ্দেশ্যে বললেন, চেষ্টা করেছি...।

সেই হাসি মাখা মুখ রেখেই নিজামী বললেন, চেষ্টাই আমাদের দায়িত্ব...। বাকী সিদ্ধান্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের...।

কাঠগড়ার পাশ ঘেষেই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখলাম, এসব কথা বলার সময় নিজামীর চেহারায় কোনো হতাশার ছাপ নেই। ভাবান্তর নেই। বরং মুখম-লজুড়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল প্রবল আত্মবিশ্বাসী এক বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের ছাপ। কোনো টেনশনই তাকে আক্রান্ত করতে পারেনি।

উৎসঃ শীর্ষনিউজ

Post a Comment

Previous Post Next Post