জামায়াতের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের জিগির বাদ দিয়ে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন ||

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ১০ম পৃষ্ঠায় কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান কর্তৃক “দেশে কালা জঙ্গি না ধলা জঙ্গি?” শিরোনামে লিখিত নিবন্ধে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্যের বরাত দিয়ে “বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গিবাদকে মদদ দিয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো জঙ্গিবাদী দলের সঙ্গে বিএনপিকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, মাহবুব-উল-আলম হানিফ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়ার যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। মাহবুব-উল-হানিফ সাহেব জামায়াতের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের জিগির বাদ দিয়ে দয়া করে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন। তাহলে জানতে পারবেন কাদের হাতে মায়ের পেটের শিশুও নিরাপদ নয়, কোন্ দলের এমপিরা অবুঝ শিশুর ওপর গুলী চালিয়ে নিজের আগ্নেয়াস্ত্রের ধার পরীক্ষা করে ?

তিনি বলেন, দেশবাসী সকলেই জানেন যে, জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটি ইসলামী দল। জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে কখনো জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়নি বরং জঙ্গিবাদী রাজনীতির চরম বিরোধিতা করেছে। জামায়াত জঙ্গিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে এ দেশের আলেম সমাজকে সংগঠিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করার জন্য মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের এবং জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। কাজেই জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদী দল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং জামায়াতে ইসলামী তার জন্মলগ্ন থেকেই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং সংগ্রাম করে আসছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘরানার কিছু সংবাদপত্র এবং মিডিয়া জামায়াতের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পর্ক থাকার অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা তাদের অপপ্রচারের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তাদের সকল প্রচারণাই ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হয়েছে। এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
কাজেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও প্রথম আলো পত্রিকার কলামিস্ট সোহরাব হাসানের প্রতি আহ্বান জানান।

www.facebook.com/Voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post