সন্দ্বীপে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও কোস্টগার্ড সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই সহযোগিসহ এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১ টি কে ২২ রাইফেল, ২ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি বিদেশি রিভলবার, ৪ টি ওয়ান শ্যুটার গান, ৯ টি সবিবিএল ( সিঙ্গেল ব্যারেল রাইফেল) ও ৫ টি পাইপ গান।
র্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক এএসপি শাহেদা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সোমবার সকাল দশটা থেকে এই অভিযান শুরু হয় , দুপুর পর্যন্ত সন্দ্বীপে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান
চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার ও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. শাহেদ উল্যাহ (২৮), তার দুই সহযোগি মো. মানিক মিয়া (২৪) ও মো. নিরব মিয়া (২৫)। এর মধ্যে শাহেদ সন্দ্বীপ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। শাহেদের বাড়ি সন্দ্বীপের হারামিয়া ও অপর দু’জনের বাড়ি কুচিয়ামোড়া এলাকায়।
র্যাব সূত্র জানায়, হারামিয়া এলাকায় শাহেদের বাড়ি ও তার দেখানো মতে বিভিন্ন স্থান থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তা মান্ডার দুরুল হুদা জানান, রোববার রাতে সন্দ্বীপের সেনেরহাট এলাকার বেড়িবাঁধে মোটরসাইকেলসহ কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। সাগর পাড়ে টহলরত কোস্টগার্ডের সদস্যরা সন্দেহবশত তাদের দাঁড়াতে বলে। কিন্তু যুবকরা কথা না শুনে মোটর সাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে । এক পর্যায়ে পিছু ধাওয়া করে শাহেদ উল্ল্যাহকে আটক করে কোস্টগার্ড। সন্দ্বীপ কোস্টগার্ড কার্যালয়ে রাতে শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অস্ত্র ভান্ডারের কথা স্বীকার করে। এরপর
র্যাবকে বিষয়টি জানিয়ে অভিযানের জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয় বলে জানান দুরুল হুদা।
তিনি জানান, সোমবার সকাল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু র্যাব ও কোস্টগার্ড। দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে শাহেদের বাড়ির রান্নাঘরসহ বিভিন্নস্থান থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান ,শাহেদ উল্ল্যাহ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সন্দ্বীপ থানায় তিন থেকে চারটি মামলা রয়েছে । গত পাঁচ মাস আগে তাকে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পেয়ে শাহেদ বেরিয়ে আসে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং কোরবানির পশুর হাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব ৭ এর অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ ও কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের প্রধান ক্যাপ্টেন শহিদুল ইসলাম যৌথভাবে এই অভিযানে নেতৃত্ব
দেন।
র্যাব -৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি শাহেদা সুলতানা জানিয়েছেন, সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানে ৪০জনের মত র্যাব সদস্য অংশ নেন। এই অভিযানে কোস্ট গার্ডের সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা মান্ডার দুরুল হুদা।