আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সংক্ষিপ্ত জীবনী

১. জন্মঃ ১৯৪০ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি ।
পিরোজপুর জেলার সাইদখালী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন ।
পিতার নামঃ মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ফুরফুরা পীরের খলিফা এবং স্বনামধন্য ইসলামী পণ্ডিত বা আলেম ছিলেন ।
মায়ের নামঃ গুলনাহার বেগম,
আল্লামা সাইদীর সন্তানঃ চারছেলে- মরহুম রাফিক বিন সাঈদী,
আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, মাসুদ সাঈদী এবং নাসিম সাঈদী ।

২. শিক্ষাজীবনঃ
পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন ।
পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায কিছুদিন এবং পরে ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিলপাশ করেন । কামিল পাশ করার পর বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম, দর্শন , বিজ্ঞান , রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, মনোবিজ্ঞান ও বিভিন্নতত্তের উপর দীর্ঘ ৫ বছর অধ্যায়ন করেন ।

৩. দায়ী ইলাল্লাহঃ ১৯৬৭ সাল থেকে তিনি নিজেকে "দায়ী ইলাল্লাহ"হিসেবে আত্মনিয়োগ করেন। মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী পৃথিবীর অর্ধশতের ও বেশি দেশে আমন্ত্রিত হয়ে ইসলামের সু-মহান আদর্শ মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন ।

দেশে তাঁর ৫০ বছরের ইসলাম প্রচারের নমুনা দেখুন, সংক্ষেপে---

ক. চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানে প্রতি বছর ৫ দিন করে টানা ২৯ বছর কোরআনের তাফসীর করেন । পবিত্রকাবা শরীফের সম্মানিত ইমাম এ মাহফিলে দু’বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
খ. খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান সহ শহরের বিভিন্ন মাঠে প্রতি বছর ২ দিন করে ৩৮বছর ।
গ. সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রতি বছর ৩ দিন করে টানা ৩৩ বছর
ঘ. রাজশাহী সরকারী মাদ্রাসা মাঠে প্রতি বছর ৩ দিন করে এক টানা ৩৫ বছর
ঙ. বগুড়া শহরে প্রতি বছর ২ দিন করে একটানা ২৫ বছর ।
চ. ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ময়দানও পল্টন ময়দানে প্রতি বছর ৩ দিন করে একটানা ৩৪ বছর ।

৪. রাজনৈতিক জীবনঃ
১৯৭৯ সালে জামায়াতের সাধারণ সমর্থক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে জামায়াতের মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন । সর্বশেষ বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দ্বায়িত্ব পালন করছেন ।

৫. আন্তর্জাতিক অঙ্গনেঃ
ক. ১৯৭৬ সাল থেকে সৌদি আমন্ত্রনে রাজকীয় মেহমান হিসেবে তিনি হজ্জ ব্রত পালন করেন । ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর রমজান মাস মক্কা মদীনায় থাকা রুটিন হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
খ. ১৯৮২ সালে ইমাম খোমিনির আমন্ত্রনে ইরানের প্রথম বিপ্লব বার্ষিকী উজ্জাপন উপলক্ষে তিনি তেহরান সফর করেন ।
১৯৯১ সালে সৌদি বাদশার আমন্ত্রনে কুয়েত -ইরাক যুদ্ধের মিমাংসা বৈঠকে তিনি যোগদান করেন । ১৯৯১ সালে ইসলামী সারকেল অফ নর্থ অ্যামেরিকা তাকে "আল্লামা" খেতাবে ভূষিত করেন ।
গ. ১৯৯৩ সালে নিউইয়ার্কে জাতিসঙ্ঘের সামনে অ্যামেরিকান মুসলিম ডে প্যারেড সম্মেলনে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে "গ্র্যান্ড মার্শাল" পদক দেয়া হয় । দুবাই সরকারের আমন্ত্রনে ২০০০ সালের ৮ই ডিসেম্বর আরব আমিরাতে ৫০,০০০হাজারেরও বেশি শ্রোতার সামনে তিনি কোরআনের তাফসির পেশ করেন ।
ঘ. লন্ডন মুসলিম সেন্টারের উদ্ভধনি অনুষ্ঠানে কাবা শরিফের সম্মানিত ইমাম "শায়েখ আব্দুর রাহমান আস সুদাইসির" সাথে মাওলানা সাঈদী ও আমন্ত্রিত হন ।
৬. মাওলানা সাঈদীর হাতে হাত রেখে সহাস্রাধীক অমুসলিম ইসলামের সুমহান আদর্শে দিক্ষিত হন ।আসুন আমরা সবাই কুরআনের পাখির জন্য দোয়া করি প্রাণ উজার করে ।হে আল্লাহ ! তুমি কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দ্রুত মুক্তভাবে কুরআনের দাওয়াতী কাজে মশগুল থাকার ব্যবস্থা করে দাও। আমীন ইয়া রব ।

উৎস: পেইজবুক

Post a Comment

Previous Post Next Post