ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির করা সুপারিশ সম্পর্কে রাষ্ট্রপ্রতি এডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, ‘বিএনপির প্রস্তাব গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপ্রতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পূর্ব নির্ধারিত বেঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে রাষ্ট্রপতিকে ৭ দফা সুপারিশ করেছে বিএনপি।
১৮ ডিসেম্বর রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫ তা ৩০ মিনিটে।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার পর বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।’
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি বিএনপি প্রতিনিধিদলকে বলেন যে, আজকের আলোচনা এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা শুরু করেছেন তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, আলাপ-আলোচনায় মাধ্যমে যে কোনো ইস্যু সমাধানের বহু পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনাদের প্রস্তাবসমূহ পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এক ঘন্টা স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রপতি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একটি সার্স কমিটি ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে তার দলের প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরেন। তিনি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য তার দলের প্রস্তাবও তুলে ধরেন। বেগম জিয়া আলোচনার জন্য বিএনপিকে আহবান জানানোয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির সাফল্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, তার দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। বিএনপি’র প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে বৈঠক করবেন।